খোলা ডেস্ক :
এখনো বোঝনি জানি,
কতটা মারণ বিষে নিভে যায় শিখা
পুড়ে পুড়ে তুষানলে,
হেমলক খুঁজি- ফেলে অমৃত বটিকা
আষাঢ় শ্রাবণ যায়,
ভাঙা নায়ে উছলায় পানি
বোঝনি কতটা ভুলে উথাল পাথাল
স্রোতে টলমল একলা পারানি
তুমি তো তেমনই আছো, নির্বিকার।
আমি একা, চাঁদের শরীর থেকে
নিখাদ কলঙ্ক মেখে-
সে ছায়ায় লুকোই নিজেকে
এভাবে লুকোনো যায় ?
পাথরের আরশিতে কে কবে দেখেছে নিজ মুখ?
শুধু জানি এ আমার বোধি প্রাপ্তি,
অনারোগ্য তীব্র অসুখ
বিষ যত নীল হয়,
তত তার মদিরতা বাড়ে
শোক যত গাঢ়-
ঠিক ততটাই বিষাদের জমাট পাহাড়ে
অদ্ভুত সুখের নিবাস।
তুমি জানো, সুখ মানে অসুখেরই আর ডাকনাম
বুঝে কি না বুঝে তাই-
এই হাটে নিজেকেই তুলেছি নিলাম
জানি তুমি কোনদিন উদ্ধত
চোখ থেকে নামাবেনা কালো সানগ্লাস
নিটোল মুখের থেকে সরবেনা কোনদিন-
আমারও এ ভ্রান্তিবিলাস
বারবার আশ্লেষে ছুঁড়ে দেবে তাচ্ছিল্যের কণা কণা রোদ
সে তাপে দগ্ধ হব,
একাই বাজিয়ে যাব ছেঁড়া তার- ক্লান্ত সরোদ
মনে রেখ একদিন ঝরে যাবে অহংকার,
লাবণ্যের বিম্বিত ঢেউ
সরে যাবে মোহাকুল পতঙ্গের আত্মঘাতী ভিড়।
সেদিনও জানবে, কেউ
ঠিক আছে।
তোমাতেই সব সমর্পণ করে দিয়ে,
একা তার সব নিয়ে-
উজাড় ফাগুন মাস. উজাড় শ্রাবণ
কবিতাটি লিখেছেন রাফি আহাম্মেদ উল্লাস। তিনি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী।
Discussion about this post