কণ্ঠশিল্পী আগুনের গাওয়া অনেক গানে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছেন সালমান। এক স্মৃতিচারণায় আগুন বলেন, ‘দারুণ স্মার্ট ছেলে ছিল সালমান। ওর বিহেভ, ইংরেজি বলা সবার থেকে আলাদা। ব্র্যান্ডের জিনিস ছাড়া পরত না। আবার বানানো জিনিস পরলেও দারুণ মানিয়ে যেত। সমসাময়িক অনেক নায়ক ছিল, অনেক চেনা মুখ ছিল। কিন্তু এফডিসিতে গেলে সালমানকে আলাদা করা যেত।’

আকারে বড় শার্ট গুঁজে রেখেছিলেন প্যান্টের এক পাশে। কখনো হ্যাট ও লম্বা কোটে পশ্চিমা লুক কিংবা টি-শার্ট বা লং শার্টের সঙ্গে নানা রকমের পশ্চিমা কোট থেকে শুরু করে স্যুট-টাই পরে কেতাদুরস্ত।

কখনো শার্টের কলার উঠিয়ে কিংবা হাফহাতা গেঞ্জি, জিনস ওপরের দিকে ভাঁজ, হুডি–শার্ট কখনো ইন করে আবার ওপেনে রেখে বিচিত্র লুক, কাউবয় বা জমিদারি পোশাকে, শেরওয়ানি, পাগড়ি, পাঞ্জাবি পরে পর্দায় হাজির হতে দেখা গেছে সালমানকে।

পলো–শার্টের হাতা ভাঁজ করে পরা সালমান শিখিয়েছেন। ফেড জিনস পরে হাঁটুতে রুমাল বেঁধেছেন সালমান। পশ্চিমা পোশাকে তাঁকে যেমন মানিয়ে যেত, তেমনি আটপৌরে জামায় বেশ লাগত। আর এসব নিজ উদ্যোগেই নিতেন বা ব্যবহার করতেন।
পশ্চিমা পোশাকে তাঁকে যেমন মানিয়ে যেত, তেমনি আটপৌরে জামায় বেশ লাগত। আর এসব নিজ উদ্যোগেই নিতেন বা ব্যবহার করতেন।

র্যাম্প মডেল ছিলেন সালমান। গানও গাইতেন কালেভদ্রে। তারপর একদিন বড় পর্দায় তাঁর আবির্ভাব। সে গল্পটা অনেকবার বলেছিলেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। নায়িকা হিসেবে মৌসুমী নির্বাচিত হলেন। নায়ক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে সময় আমিন খান, তৌকীরসহ অনেককেই দেখেছেন। একদিন সালমানের ছবি দেখে পছন্দ হয়। কিন্তু যখন শুনলেন অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমান ছেলেটি, তখন আর রাজি হলেন না সোহানুর রহমান। একদিন ধানমন্ডিতে একটি চায়নিজ রেস্তোরাঁয় এক তরুণকে ডেকেছেন। কিন্তু মনে ধরল না। হঠাৎ কী মনে এল, চায়নিজের রিসেপশন থেকে সালমানকে (ইমনকে) ফোন দিলেন। ২০ মিনিটে মোটরবাইক নিয়ে সেখানে হাজির সালমান। সেদিন দ্রুত এলেন, দেখলেন, জয় করে চলেও গেলেন সালমান।

Discussion about this post